হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

প্রাইভেট না পড়ায় ফেল করানোর অভিযোগ, কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

 





প্রাইভেট না পড়ায় গণিত বিষয়ে ফেল করিয়ে দেওয়ায় বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


রোববার বিকালে নগরীর নিজ বাসার বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।


ওই ছাত্রীর নাম মালিয়া মারিয়া মৌলি (১৭)।তিনি নগরীর শের-ই-বাংলা সড়কের বায়তুল মিনা ভবনের বাসিন্দা মো. মোশারেফ হোসেনের মেয়ে।


তার মা কোয়েল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, দুপুর ১টায় কলেজ থেকে মৌলি বাসায় আসে। এ সময় সে আমাকে জানিয়েছে, গণিত বিষয়ে সে ফেল করতে পারে না। তাকে ফেল করানো হয়েছে। এ জন্য তার মন ভালো নেই। মেজাজও খারাপ। তাই সে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে।পরে তার কোনো সাড়া না পেয়ে বারান্দায় গিয়ে মৌলিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


মৌলির বাবা মোশারেফ হোসেন কলেজ শিক্ষক। তার সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ব‌রিশা‌লের সভাপতি অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল মৌলির পরিবারের বরাতে জানান, কলেজের গণিত শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েনি মৌলি। এ কারণে তাকে বর্ষ পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে ফেল করানো হয়েছে। বিষয়টি মৌলি শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিল। তখন শিক্ষক তাকে কোনো কিছু বলেছে, যা মেনে নিতে পারেনি। তাই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।


এ অভিযোগ সম্পর্কে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আসাদ বলেন, প্রাইভেট না পড়ানোর জন্য ছাত্রীকে ফেল করিয়ে দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। কিন্তু কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি কেউ প্রাইভেট পড়ায় কিনা। কিন্তু কেউ প্রাইভেট পড়ায় না। প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।


তিনি জানান, গত ১৪ ও ১৬ নভেম্বর প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল কারো মনঃপূত না হলে তাদেরকে মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ সুযোগ দেওয়ার পরেও এটা হওয়ার কথা নয়।


কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। কোনো অভিযোগ দিলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ