হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাতার বিশ্বকাপে কোরআন তেলাওয়াত করা কে এই ঘানিম?

 




ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করে সকলের নজর কেড়েছেন ঘানিম আল মুফতাহ। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এই কাতারি যুবকের জন্ম থেকেই পা নেই। নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে কাজ করছেন মানবতার কল্যাণে। নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলে তার মতো মানুষদের উপহার দিচ্ছেন হুইল চেয়ার।


ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না স্বাগতিক কাতারের। মনোমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াতের সাথে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেই সাথে জীবন বদলের গল্প। সব মিলিয়ে অসাধারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যা ফিফার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় পাচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা।


৯২ বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মঞ্চে কোরআন পাঠ করে সকলকে চমকে দেন ঘানিম আল মুফতাহ। বিশেষভাবে সক্ষম ২০ বছর বয়সী এই কাতারি যুবক মঞ্চে উঠে জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সাথে। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ঘানিমের জন্ম থেকেই পা নেই। নানা প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে কাতারের জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার, ইউটিউবার ও মানবসেবী তিনি।


ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন ঘানিম। সেই সাথে পালন করছেন ফিফার শুভেচ্ছাদূতের ভূমিকা। শান্তি ও মানুষের মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে মাইলফলক তৈরির কথা জানান ঘানিম। মানবকল্যাণে বিলিয়ে দিতে চান নিজেকে।


সেই লক্ষ্যে পরিবারের সহায়তায় গড়ে তোলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঘানির মতো যারা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেনা না তাদেরকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় হুইলচেয়ার। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমির তাকে শান্তির দূত উপাধি দেন।

মন্তব্যসমূহ