শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

কাতার বিশ্বকাপে কোরআন তেলাওয়াত করা কে এই ঘানিম?

 




ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করে সকলের নজর কেড়েছেন ঘানিম আল মুফতাহ। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এই কাতারি যুবকের জন্ম থেকেই পা নেই। নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে কাজ করছেন মানবতার কল্যাণে। নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলে তার মতো মানুষদের উপহার দিচ্ছেন হুইল চেয়ার।


ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না স্বাগতিক কাতারের। মনোমুগ্ধকর কোরআন তেলাওয়াতের সাথে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেই সাথে জীবন বদলের গল্প। সব মিলিয়ে অসাধারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যা ফিফার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় পাচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা।


৯২ বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মঞ্চে কোরআন পাঠ করে সকলকে চমকে দেন ঘানিম আল মুফতাহ। বিশেষভাবে সক্ষম ২০ বছর বয়সী এই কাতারি যুবক মঞ্চে উঠে জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সাথে। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ঘানিমের জন্ম থেকেই পা নেই। নানা প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে কাতারের জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার, ইউটিউবার ও মানবসেবী তিনি।


ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন ঘানিম। সেই সাথে পালন করছেন ফিফার শুভেচ্ছাদূতের ভূমিকা। শান্তি ও মানুষের মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে মাইলফলক তৈরির কথা জানান ঘানিম। মানবকল্যাণে বিলিয়ে দিতে চান নিজেকে।


সেই লক্ষ্যে পরিবারের সহায়তায় গড়ে তোলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঘানির মতো যারা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেনা না তাদেরকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় হুইলচেয়ার। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমির তাকে শান্তির দূত উপাধি দেন।

মন্তব্যসমূহ