জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

বিশ্বকাপে কোরআন তেলাওয়াত করা কে এই ঘানিম?


ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে কাতার। ৯২ বছরের ইতিহাসে এই নজির সৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়েছে দেশটির ২০ বছর বয়সী যুবক ঘানিম আল মুফতাহর নাম। বিশেষভাবে সক্ষম এ যুবক মানবদরদি হিসেবেই পরিচিত। তার সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে এ প্রতিবেদনে।

দ্য গ্রেটেস্ট শো আর্থের’ ২২তম আসরে রোববার (২০ নভেম্বর) জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলো কেড়েছেন ঘানিম। জন্ম থেকেই পা নেই ঘানিমের। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু সেসব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে ঘানিম কাতারের জনপ্রিয় ইউটিউবার, একজন জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার ও মানবসেবী।

আল মুফতাহ প্রথমবার বিশ্ববাসীর সামনে হাজির হন ২০১৮ সালে, ১৬ বছর বয়সে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত টেডএক্সের অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানে তিনি তার কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম নিয়ে কথা বলেন। যে রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের নিচের অংশ বৃদ্ধি পায় না।

কোরআন তেলাওয়াতের অংশ ছাড়াও ঘানিম এবারের বিশ্বকাপে ফিফার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ঘানিম জানান, ফিফা বিশ্বকাপের একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি আশার, শান্তির এবং মানুষের মধ্যে ঐক্যের বার্তা পাঠাতে চাই।

ঘানিম তার পরিবারের সাহায্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেছেন। তার মতো যারা পায়ে চলাচল করতে পারেন না, এ সংস্থা থেকে তাদেরকে হুইলচেয়ার উপহার দেয়া হয়। মানবদরদি কাজের জন্য তিনি সারা পৃথিবীতেই পরিচিত। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমি শেখ শাবাহ আল আহমদে আল শাবাহ তাকে ‘শান্তির দূত’ নামে অভিহিত করেন।

ফুটবল ঘানিমের পছন্দের খেলা। স্কুল জীবন থেকেই হাতে ভর দিয়ে বিশেষভাবে ফুটবল খেলে আসছেন তিনি। তার ইচ্ছে প্যারালিম্পিয়ানে খেলা। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে রোববার (২২ নভেম্বর) মাঠে গড়িয়েছে ২২তম বিশ্বকাপের আসর। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে প্রথমবার মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো ন আর্থে’র।


 


মন্তব্যসমূহ