হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চুয়াডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি, ৩০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

 




চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সড়াবাড়ীয়া-গহেরপুর সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ৮টা থকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক আটকে তাণ্ডব চালায় ডাকাত সদস্যরা। এতে বেশ কয়েকটি যানবাহন আটকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


জানা গেছে, রাতে রাস্তায় বাবলা গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দুই প্রান্তে ডাকাত দলের ১৫-২০ সদস্য অবস্থান নেয়। সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে পথচারীদের পথরোধ করে ডাকাতি করে। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে ভুক্তভোগীদের আটকে রাখা হয়।


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার কাছ থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। এছাড়া ঝিনাইদহের পৌর এলাকার একদল তরুণ প্রাইভেট কারে ঘুরতে এসে ডাকাতির কবলে পড়ে। তারা আন্দুলবাড়ী থেকে বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলো। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দু’টি স্বর্ণের চেইন, দু’টি লকেট, একটি ব্রেসলেট ও পাচঁটি আংটি লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। রাস্তায় পথচারি, মটরসাইকেল আরোহী, পাখিভ্যান, ইজিবাইক, হাটের গরু ব্যাপারিদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও প্রাইভেট কারের যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় মোট ৩০ লাখ টাকা ডাকাতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক ও দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবির। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাকাত সদস্যদের ধরতে ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক ইউনিট মাঠে নেমেছে। দ্রুতই তাদরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্যসমূহ