গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

সিডনিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়িঘর ছাড়ছে মানুষ

 




অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের সিডনিতে আজ মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে গেছে এবং তলিয়ে গেছে অনেক সড়ক। হাজারও মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।


কর্মকর্তারা বলছেন, নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যে পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় জরুরি সেবার লোকজন প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


এদিকে, সিডনিতে গতকাল সোমবার রাতে জরুরি সেবার লোকজন সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় ২২ জনকে উদ্ধার করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিডনিতে ১০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


কর্মকর্তারা আরও জানান, প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে ১৯ হাজার বাড়িঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


ফেডারেল সরকার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের ২৩টি প্লাবিত অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।


এদিকে, নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডোমেনিক পেরোটেট লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


এর আগে মার্চে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

মন্তব্যসমূহ