হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চলে গেলেন পদ্মা ও সেতু, সুস্থ আছে স্বপ্ন

 





দিনাজপুরের বিরামপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু নামের তিন কন্যা শিশুর মধ্যে পদ্মার মৃত্যুর একদিনের মাথায় সেতুও মারা গেছে। গতকাল রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে সেতুর মৃত্যু হয়। তার আগের দিন শনিবার মারা যায় পদ্মা।


তবে পদ্মা ও সেতুর মৃত্যু হলেও আরেক শিশু স্বপ্ন সুস্থ আছে। শিশু তিনটির বাবা জাহিদুল ইসলাম নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


স্বজনরা জানান, গত ১৮ জুলাই দুপুরে বিরামপুরের ইমার উদ্দিন কমিউনিটি হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাদিনা বেগম। পদ্মা সেতুকে স্মরণীয় করে রাখতে তিন শিশুর নাম রাখা হয়- স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। সন্তানদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে একদিন পর শিশুদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন পরিবারের সদস্যরা।


শিশুদের বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে পদ্মা নামের কন্যা শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। পদ্মা মারা যাওয়ার পর সেতু ও স্বপ্ন বাড়িতে ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে রোববার রাতে সেতু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার আগেই রাত সোয়া ৯টার দিকে মৃত্যু হয়। তবে স্বপ্ন নামের অপর কন্যা শিশুটি ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, তিন শিশুর মধ্যে শনিবার পদ্মার মারা যাওয়ার বিষয়টি জেনেছিলাম। তাই অন্য দুই শিশু সেতু ও স্বপ্নকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ায় জন্য তাদের বাবাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে সেতুর মৃত্যুর কথা শুনেছি।

মন্তব্যসমূহ