হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘নূপুর শর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মৌখিক, ওটা রায় নয়’

 




সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার পরও ঘুরিয়ে নূপুর শর্মার পাশেই দাঁড়াল বিজেপি। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণকে তেমন গুরুত্বই দিলেন না কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।


তার বক্তব্য, শীর্ষ আদালত নূপুর শর্মাকে নিয়ে যা যা বলেছে, সবটাই শুধু মৌখিক পর্যবেক্ষণ। এটা কোনো লিখিত রায় নয়। তাই এ নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।


উল্লেখ্য, মহানবী সা:-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলেছে, নূপুর শর্মার মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবিবেচকের মতো। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হলেই যা মুখে এল, তা বলে দেয়া যায় না।


সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নূপুরের মন্তব্যের জন্যই দেশে হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, দেশে আগুন জ্বলছে। এমনকী উদয়পুরের নৃশংস ঘটনার নেপথ্যেও দায়ী নূপুর শর্মার উসকানিমূলক মন্তব্য। এর জন্য ক্ষমা চাইতেও দেরি করেছেন তিনি। তার উচিত প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া।


শীর্ষ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণকে হাতিয়ার করে একযোগে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, দেশের বর্তমান হিংসাত্মক পরিবেশের জন্য নূপুর শর্মাকে দায়ী করে একেবারে ঠিক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য আসলে গোটা দেশের মানসিকতার প্রতিফলন। ক্ষমতাসীন দলের উচিত লজ্জায় মাথা নত করে বসে থাকা।


বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূলের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, নূপুর শর্মাকে যেভাবে অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিশ আড়াল করছে সেটা লজ্জার। এ রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য, শীর্ষ আদালতই বলে দিচ্ছে গোটা দেশে আগুন জ্বালানোর জন্য নূপুর শর্মা একাই দায়ী।


কিন্তু কেন্দ্র সরকার যেন এখনো নূপুরের সঙ্গ ছাড়ছে না। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বলছেন, একজন আইনমন্ত্রী হিসাবে আমার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তাছাড়া এটা তো মৌখিক পর্যবেক্ষণ। এটা কোনো লিখিত রায় নয়। সঠিক সময়ে সঠিক প্ল্যাটফর্মে এটা নিয়ে কথা বলব। আমার যদি এই পর্যবেক্ষণে সমস্যা থাকে বা যেভাবে এটা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রবল আপত্তি থাকে তাহলেও এটা নিয়ে কিছু বলব না।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্যসমূহ