হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শনিবার থেকে ড্রোন দিয়ে মশা খুঁজবে ডিএনসিসি

 




মশার উৎস খুঁজতে ড্রোনের মাধ্যমে আগামী শনিবার (২ জুলাই) থেকে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।


বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।


তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা বেলকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। তাই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা আছে কি না সেটি খুঁজে বের করা হবে। কোনো বাড়িতে পাওয়া গেলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী ২ থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তরের আওতাধীন প্রতিটি বাসাবাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবো।


তিনি জানান, ড্রোন থেকে ছবি ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করবে সিটি করপোরেশন, যা আগামী বছরে মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে।


এ সময় তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রাজধানীর হাসপাতাল ও রোগীদের ডেঙ্গুর বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান।


আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনুরোধ করবো আপনাদের সঠিক ঠিকানা দিন। আমরা আপনাদের জরিমানা করবো না। আমরা শুধু ওই বাসায় গিয়ে আশপাশে মশার কীটনাশক ছিটিয়ে দেবো। কিন্তু আপনি যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে তো আমরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে পারবো না।


ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা এক প্রকার ট্যাবলেট জলাশয় ও বাসাবাড়ির পানির মিটারে ব্যবহার করছি, যা তিনমাস পর্যন্ত পানিতে মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে।


মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে সমিতির উদ্যোগে স্থাপিত মশা ধরার মেশিনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এটি মশা নিধনের একটি আধুনিক মেশিন। মেশিনটি একইসঙ্গে এডিস এবং কিউলেক্স মশা ধরতে পারে। এই মেশিনটি চতুর্দিকে ২৪৫ ফুট বা ৮০ মিটারব্যাপী কার্যকরী। এটি একটি অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কতটি মশা ধরা পড়লো তা জানা যায় এবং মেশিনটি চালু ও বন্ধ করা যায়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ছয়টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।


অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ