শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

আমিরাতসহ ১৮ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত

 




আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ায় প্রথমবারের মতো এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। 


মঙ্গলবার নতুন এ তিন দেশ নিয়ে আফ্রিকার বাইরে এখন ১৮ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হলো। সাধারণত আফ্রিকাতে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হতে দেখা যায়। খবর বিবিসির। 


বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়া দেশের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে সর্বোপরি সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এখনও কম।  


সাধারণত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও এবার এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায় পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর ও ফুসকুড়ি। তবে সংক্রমণ সাধারণত হালকা হয়ে থাকে।


এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।


দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ আছেন এবং  এটি শনাক্তে আগাম নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে সাধারণত এই ভাইরাসটি দেখা যায় না, সেখানে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মন্তব্যসমূহ