জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

আমিরাতসহ ১৮ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত

 




আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ায় প্রথমবারের মতো এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। 


মঙ্গলবার নতুন এ তিন দেশ নিয়ে আফ্রিকার বাইরে এখন ১৮ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হলো। সাধারণত আফ্রিকাতে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হতে দেখা যায়। খবর বিবিসির। 


বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়া দেশের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে সর্বোপরি সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এখনও কম।  


সাধারণত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও এবার এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায় পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর ও ফুসকুড়ি। তবে সংক্রমণ সাধারণত হালকা হয়ে থাকে।


এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।


দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ আছেন এবং  এটি শনাক্তে আগাম নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে সাধারণত এই ভাইরাসটি দেখা যায় না, সেখানে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মন্তব্যসমূহ