বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল বিক্রির প্রস্তাব এসেছে। বিশেষ করে ক্রুড অয়েলের (অপরিশোধিত তেল) কথা বলছে তারা। আমরা সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।’
আজ সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া আগে প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করত, যার অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপে।’
দেশে জ্বালানির দাম কমানোর চিন্তা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জ্বালানির দামটা স্থিতিশীল রাখতে চাই। বাড়াতেও চাই না, কমাতেও চাই না। দাম যতটুকু কমেছে, তাতে করে এখনই সমন্বয় করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’
জনগণের ওপর চাপ কমাতে তরল জ্বালানির পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন চালু করা উচিত মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখন বৈদ্যুতিক থ্রি হুইলারগুলো চলছে। এগুলো জনগণকে খরচের ব্যাপারে স্বস্তি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে। রেল বিভাগ চাইলে বৈদ্যুতিক ট্রেনও চালু করতে পারে।’
বিদ্যুৎ উৎপাদনেও জ্বালানি তেলের ওপর চাপ কমানোর কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের বেশ কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে পারব। এতে খরচ সাশ্রয় হবে।’
ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সেই সমস্যা এখন কেটে গেছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো রাষ্ট্রীয় কেনাকাটায় বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার ছাড় দিতে বাধ্য। আমরা যে ব্যাংক থেকেই এলসি খুলতে চাই, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংকের ডলারের যোগান দিতে বাধ্য। বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে।’
মন্তব্যসমূহ