হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মেক্সিকোতে বার-হোটেলে বন্দুক হামলায় নিহত ১১

 




উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর হোটেল ও বারে বন্দুক হামলায় নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। একটি হোটেল ও দুটি পৃথক বারে এ হামলা চালানো হয়।


স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সিলায়া শহরে এ হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিবিএস নিউজ।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় গুয়ানাজুয়াতো প্রদেশের সেলায়া শহরে দুটি পৃথক বার ও একটি হোটেলে চালানো ওই হামলায় নিহত ১১ জনের মধ্যে আটজন নারী এবং তিনজন পুরুষ। এ ছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।


সেলায়া শহরের নিরাপত্তা সচিবালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্দুক হামলার খবর পেয়ে ভ্যালে হারমোসোর আশপাশে পৌঁছানোর পর কর্মকর্তারা নিহতদের মৃতদেহগুলো খুঁজে পান। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর হামলাকারীরা স্থাপনায় আগুন দেওয়ার জন্য পেট্রল ঢেলে দেয়।


তারা আরও জানান, মৃতদেহগুলো প্লাস্টিকের টেবিল ও চেয়ারের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল এবং একজন ফুটপাতে পড়েছিল।


মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতো একটি সমৃদ্ধ শিল্প অঞ্চল। এখানে একটি শোধনাগার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পাইপলাইন রয়েছে। কিন্তু সান্তা রোসা দে লিমা এবং জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেল নামক দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে এটি মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস প্রদেশে পরিণত হয়েছে।


অপরাধী এই দলগুলো মাদক ও চোরাই জ্বালানি পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণের জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে। অবশ্য সর্বশেষ এই হামলায় কোনো অপরাধী গ্রুপকে সন্দেহ করা হয়েছে তা জানায়নি কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্যসমূহ