হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শ্রীলঙ্কায় সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই : প্রতিরক্ষাপ্রধান

 




রাজনৈতিক অচলাবস্থা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কায় সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। কয়েক দিন ধরে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সেনাসদস্য। এমন অবস্থায় অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। খবর এএফপি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।


অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কায় কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলে। কিন্তু, গত সোমবার সরকার সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালালে সহিংসতা শুরু হয়। এর জেরে অন্তত আট জন নিহত হয় এবং পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।


শ্রীলঙ্কাজুড়ে জারি করা হয়েছে কারফিউ। রাজপথে টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা। রাজধানী কলম্বোর রাজপথে সামরিকযানের চলাচলের ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পর বিরোধী আইনপ্রণেতারা অভিযোগ তোলেন দেশে সামরিক অভ্যুত্থান আসন্ন।


তবে, বিরোধী আইনপ্রণেতাদের অভিযোগের জেরে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কমল গুনারত্নে বলেন, ‘দেশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি থাকায়, তা মোকাবিলার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই মনে করবেন না আমরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনীর সেরকম কোনো উদ্দেশ্য নেই।’


২০০৯ সালে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকারের চূড়ান্ত যুদ্ধের সময় কমল গুনারত্নে ছিলেন একজন ফিল্ড কমান্ডার। ওই সময়ে তাঁর ঊর্ধ্বতন ছিলেন গোটাবায়া রাজাপাকসে। বর্তমানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট।

মন্তব্যসমূহ