হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

রাশিয়া-ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে যা জানা গেল

 


রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।


তুরস্কের আঙ্কারায় বহুল প্রতীক্ষিত এ বৈঠকটি হয়। 


এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববাসীর বড় প্রত্যাশা থাকলেও সেরকম কিছু হয়নি। 


সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বৈঠকে কোনো ফলাফল আসেনি। 


কারণ রাশিয়া ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানিয়েছে। যা ইউক্রেন কখনো মেনে নেবে না। 


ইউক্রেন যুদ্ধ বিরতি ও মারিউপোলে মানবিক করিডোর তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো কিছু বলেননি। 


তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ফের লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। 


তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন কূটনৈতিকভাবে চলমান এ দ্বন্দ্বের সমাধান করতে রাজি আছে। কিন্তু তারা রাশিয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। 


তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই। তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।


তিনি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু রাশিয়া এ যুদ্ধ শুরু করেছে ফলে  রাশিয়াকেই এটি বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেন চাইলেও যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে না। 



তবে বৈঠক শেষে  সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে ভিন্ন কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্টমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া তাদের দাবিগুলো ইউক্রেনের সামনে তুলে ধরেছে। তাছাড়া মানবিক করিডোরের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। 


সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

মন্তব্যসমূহ