শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৩

 




পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।


তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে সাতজন।


কেনিয়ার উত্তর-পূর্ব মানদেরা কাউন্টির পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার ১৪ আসন বিশিষ্ট একটি মিনিবাস মানদেরা শহরের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় পেতে রাখা বোমাটিকে আঘাত করে। এরপরই বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং আরোহীরা দগ্ধ হয়ে মারা যান।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কেনিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের পুলিশ প্রধান বুনেই রোনোকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।


অবশ্য হামলার পর এখনো কোনো গোষ্ঠীই তাৎক্ষণিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রাণঘাতী এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। সোমালিয়ার এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি অতীতেও সীমান্ত অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী ও গণপরিবহনকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছিল।


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীটি কেনিয়ার উত্তর-পূর্ব ও উপকূলবর্তী অঞ্চলের বেশির ভাগ হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে কিছু সহিংসতার ঘটনা স্থানীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে বলেও মনে করা হয়।

মন্তব্যসমূহ