হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৩

 




পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় রাস্তায় পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।


তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে সাতজন।


কেনিয়ার উত্তর-পূর্ব মানদেরা কাউন্টির পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার ১৪ আসন বিশিষ্ট একটি মিনিবাস মানদেরা শহরের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় পেতে রাখা বোমাটিকে আঘাত করে। এরপরই বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং আরোহীরা দগ্ধ হয়ে মারা যান।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কেনিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের পুলিশ প্রধান বুনেই রোনোকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।


অবশ্য হামলার পর এখনো কোনো গোষ্ঠীই তাৎক্ষণিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রাণঘাতী এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। সোমালিয়ার এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি অতীতেও সীমান্ত অতিক্রম করে নিরাপত্তা বাহিনী ও গণপরিবহনকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছিল।


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীটি কেনিয়ার উত্তর-পূর্ব ও উপকূলবর্তী অঞ্চলের বেশির ভাগ হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে কিছু সহিংসতার ঘটনা স্থানীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে বলেও মনে করা হয়।

মন্তব্যসমূহ