হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনার নতুন ধরন ‘নিওকোভ’ কতটা বিপজ্জনক? যা বলছে ডব্লিউএইচও

 





করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে চিন্তায় বিশ্ব। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক; করোনার নতুন ধরন ‘নিওকোভ’। যার সন্ধান পেয়েছেন করোনার আঁতুড়ঘর চীনের একদল বিশেষজ্ঞ। তাদের দাবি, নিওকোভ আগের সব ধরনের থেকে বিপজ্জনক এবং সংক্রামক। সত্যিই কি তাই? স্পষ্ট কোনো উত্তর এখনো দিতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিওকোভ নামের এই ধরনটি মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে হলে এই ভাইরাসটি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। তবে এরপরই উদ্বেগ বাড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী দিনে করোনার এই নতুন ধরন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ালে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ মানুষের শরীরে আসা ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগই আসে কোনো না কোনো পশু থেকে। করোনাভাইরাসও বিভিন্ন প্রাণির শরীরে দেখা যায়।


নিওকোভ নতুন ভাইরাস নয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চোখে পড়তো। এই ভাইরাসটি সাধারণত মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না। মূলত পশুপাখির শরীরেই এর সংক্রমণ দেখা যেতো। প্রথমে এই ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়।


উহান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের গবেষকদের দাবি, আর মাত্র একবার মিউটেশন হলেই এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।


বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভাইরাসে মৃত্যু হার ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজন সংক্রমিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্যসমূহ