হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

 




মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধে এবং বেসামরিক সরকার গঠনের জন্য জান্তা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে।  


একটি প্রেস বার্তার মাধ্যমে এই আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।খবর আল জাজিরা ও ডেইলি সাবাহ।


তিনি বলেন, এক বছর হতে চলছে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসেছে সামরিক সরকার। সেই থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি আছেন সু চি। আর এ কারণে মিয়ানমারের জনগণকে ইতোমধ্যে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।


মিশেল বলেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। এখন এর সময়ও এসেছে। সেইসঙ্গে দেশটির গণতন্ত্র দ্রুত ফেরাতে বিশ্ব নেতাদের যথাযথ উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণকে ত্যাগ না করে সেজন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 


তিনি বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে রাজি করাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আসিয়ান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।


জাতিসংঘের মানবাধিকারের হাইকমিশনার মিশেল আরও বলেন, আমি এই অঞ্চলের এবং এর বাইরের রাষ্ট্র প্রধানদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকেও মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের এই আবেদনটি শোনার অনুরোধ জানাচ্ছি। চলমান সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।


জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে দেড় হাজার বেসামরিক মানুষের। বন্দির সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১১ হাজার।

মন্তব্যসমূহ