হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৯৭

 




ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে শনিবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে এক হাজার ২৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।


রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্পে শত শত ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধসে পড়েছে এবং প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। খবর আরব নিউজ ও সিএনএনের।


হাসপাতালগুলোতে আহত মানুষের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে বহু মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।


শনিবারের ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানী পোর্টা প্রিন্স থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। হাইতির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত উদ্ধার করা এক হাজার ২৯৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন।

উদ্ধারকর্মীরা শত শত মানুষকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন এবং এখনও আহত মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার কাজ চলছে।


প্রধানমন্ত্রী হেনরি সারা দেশে এক মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ভূমিকম্পে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র সামনে না আসা পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইবেন না। কোনো কোনো ছোট শহর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ