হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইসরায়েলের বিপক্ষে শক্তিশালী অবস্থানের কথা ইরানকে জানালেন এরদোয়ান

 




ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসারায়েলি বাহিনীর চালানো ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এসময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের অবস্থানের কথা জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুর্কিদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।


রোববার (১৬ মে) তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর আনাদুলোর।


ফোনে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের শক্তিশালী বার্তা দেয়া উচিত। ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের অভিন্ন আলোচনা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।


বিবৃতিতে বলা করা, দুই নেতা তাদের কথোপকথনের সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।


আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা সপ্তম দিনেও গাজায় সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রোববার বিমান হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। এদিন কমপক্ষে ২ টি আবাসিক ভবন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


সোমবার (১০ মে) শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজায় এ পর্যন্ত ৫৫ শিশুসহ ১৮৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার দুইশ’ মানুষ। ইসরায়েলে ২ শিশুসহ ১০ জন নিহত হন।


প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে সংযুক্ত করে। তবে তাদের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কখনও স্বীকৃতি পায়নি।

মন্তব্যসমূহ