হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ব্যর্থ ইসরাইল সেনাবাহিনী , এখনই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: ইসরাইল পত্রিকা হারেৎজ

 





ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত চলমান রয়েছে।  গাজা থেকেই ফিলিস্তিনে বেশিরভাগ হামলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গাজা সীমান্তে ইসরাইল ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইসরাইল সংবাদ মাধ্যম হারেৎজ। তারা বলছে, চলমান হামলায় এখনই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। 


পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক আলুফ বেন একটি নিবন্ধে বলেছেন, আমাদের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক ব্যর্থতা হয়েছে। 


ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা ও পরাজয়ের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন। 


নিবন্ধে তিনি বলেন, গাজায় ভরাডুবির পর সামরিক বাহিনীতে সংস্কার আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। 


হারেৎজ সম্পাদক আরও লেখেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে এবার এবং এই যুদ্ধের কোনো প্রয়োজনই ছিল না। লেবাননের সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধ এবং গাজায় এর আগের যুদ্ধগুলোর চেয়ে এবারের যুদ্ধে পরাজয়ের স্বাদ বেশি তিক্ত।


ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ দশম দিনে পড়েছে।  এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ২১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে হামাসের হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন তিন শতাধিক ইসরাইলি। 


মন্তব্যসমূহ