হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সব রেকর্ড ভঙ্গ: ইসরায়েলে ৩ হাজার রকেট ছুড়ল হামাস

 





গত সাত দিন ধরে চলা ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের লড়াইয়ে তিন হাজার রকেট ছুড়েছে প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি জেনারেল হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম পার্সটুডে। তিনি বলেছেন, চলমান সংঘর্ষে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক রকেট হামলার শিকার হয়েছে ইসরায়েল।



রোববার (১৬ মে) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্টের কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গরডিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত কয়েক দিনে গাজা থেকে হামাস ইসরায়েল অভিমুখে প্রায় তিন হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের সংঘর্ষে গাজা থেকে এত বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়নি এবং ২০০৬ সালের সংঘর্ষে লেবাননের হিজবুল্লাহও এত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি।


জেনারেল গরডিন একটি গ্রাফিক দেখিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন দিনের সংঘাতে গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলন মাত্র ৫৭০টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এ ছাড়া ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ ১৯ দিনে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে মোট ৪ হাজার ৫০০ রকেট ছুড়েছিল। ইসরায়েলি এই জেনারেল বলেন, দিনের হিসাবে গড়ে বর্তমান সংঘর্ষে সর্বাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। 



ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হামাসের ছোড়া রকেটে এখন পর্যন্ত ২ জন শিশুসহ ১০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বহু স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে তারা। 

মন্তব্যসমূহ