হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘আমরা জীবিত; আমাদেরকে উদ্ধার করার আশা ছেড়ে দেবেন না’

 




চীনের একটি স্বর্ণের খনিতে বিস্ফোরণের পর খনির প্রবেশপথ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার ভেতরে আটকে পড়া ১২ শ্রমিক জীবিত আছেন এবং তারা বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, তারা এসব শ্রমিকের হাতে লেখা চিরকুট পেয়েছেন যাতে লেখা রয়েছে, “আমাদেরকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা বন্ধ করবেন না।”


গত ১০ জানুয়ারি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানদুং প্রদেশের হুশান স্বর্ণের খনিতে বিস্ফোরণের পর মোট ২২ খনি শ্রমিক নিখোঁজ হন।  যাদের কাছ থেকে বার্তা পাওয়া গেছে তারা নিজেদের সংখ্যা ১২ জন বলে জানিয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে, বাকি ১০ জনের কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।


চীনের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকমীরা একটি সরু পাইপের সাহায্যে শ্রমিকদের এই দলটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা প্রথমে পাইপের ভেতরে রশি পাঠানোর পর অনুভব করেন ভেতর থেকে এটি ধরে টানা হচ্ছে। এরপর তারা একই পথে খাবার, ওষুধ, কাগজ ও পেন্সিল ভেতরে পাঠান। ওই কাগজে শ্রমিকরা তাদের অবস্থানের কথা লিখে জানিয়েছেন। তারা আরো বেশি ওষুধ বিশেষ করে ব্যথা ও প্রদাহনাশক ওষুধ এবং ব্যান্ডেজ পাঠানোর আবেদন করেছেন। তারা আরো বলেছেন, তারা যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার পানির উচ্চতা অনেক বেশি। 


চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ খনন করে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। জনপদ থেকে দূরে অবস্থিত খনিটিতে বিস্ফোরণের খবর উদ্ধারকর্মীরা একদিন পর জানতে পারার কারণে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পুরো একদিনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়।


চীনে খনি দুর্ঘটনা নতুন কিছুর নয়। যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবের কারণে দেশটিতে বারবার খনি দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি কয়লার খনিতে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। একই বছরের সেপ্টেম্বর আরেকটি খনিতে আগুন লেগে ১৬ শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর চীনের আরেকটি কয়লার খনিতে আগুন লেগে ১৬ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ