হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় ৫ পাক সেনা নিহত

 





এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় বাহিনীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাঁচ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন।


ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার পুঞ্চ সেক্টরে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে পাকিস্তানি সেনারা আগে গুলি চালায়। তাৎক্ষণিক জবাব দেয় ভারতীয় সেনারাও।


ভারতের প্রতিরক্ষা দফতরের সূত্রের বরাতে খবরে জানায়, হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে বেসামরিক মানুষের বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেনারা বেসামরিকদের লক্ষ্য করেই হামলা চালায় বলে অভিযোগ ভারতের। 


সীমান্তে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে গোলাগুলি। এতে আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন অনেকে।


উভয়পক্ষের সংঘাতে পাঁচ পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং তিনজন আহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বেশ কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে।


পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কোন দেশ।


ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির খবরে জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরে চলতি বছর পাকিস্তানি সেনারা ৩২০০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। দেশটির সেনাদের হামলায় ৩০ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

মন্তব্যসমূহ