গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

বাইডেন ২১৩, ট্রাম্প ১৭৪

 




মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে জো বাইডেন বেশ এগিয়ে গেছেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরো অনেক অপেক্ষা করতে হবে।


আল জাজিরায় প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন পেয়েছেন ২১৩টি ইলেক্টরাল ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১৭৪টি ভোট।


মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮, জিততে হলে প্রয়োজন ২৭০টি ভোট।


জরিপ অনুযায়ী পপুলার ভোটে এতক্ষণ ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও এবার বাইডেন তাকে পেছনে ফেলেছেন। বাইডেন ৫,৬৪,০১,২৬২ ভোট পেয়েছেন, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৫,৪৮,৩৮,৯৭৪ ভোট।


উল্লেখ্য, ফলাফল নির্ধারিত হবে ইলেক্টরাল ভোটে।


ফ্লোরিডার দিকে সবার চোখ কেন?

বিবিসির খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত এখানকার অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যের ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।নির্বাচনে জিততে হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়ায় জিততেই হবে। ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট রয়েছে ২৯টি।


এই দুটি রাজ্যে জয় পাওয়াটা জো বাইডেনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লোরিডা থেকে এখন পর্যন্ত যে ফলাফলের আভাস আসছে - তাকে 'মিশ্র' বলা যায়।


বাইডেন যদি এ দুটি রাজ্যের অন্তত একটিতে জিততে পারেন, তাহলে হয়তো বেশ আগেভাগেই তার প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।


অন্যদিকে যদি ট্রাম্প এ দুটি রাজ্য নিজের হাতে রাখতে পারেন - তাহলে পর্যবেক্ষকদের নজর ঘুরে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মধ্য-পশ্চিমের শিল্পকারখানা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলোর দিকে।


তবে এসব পূর্বাভাস তখনি দেয়া হয়, যখন কে বিজয়ী হতে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাস জুড়ে চলা ভোট গ্রহণ, নির্বাচনের দিনের বুথ ফেরত জরিপ এবং কিছুটা জমা পড়া ভোট গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে।


অনেক বেশি আগাম ভোট পড়ার কারণে অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশে এখন দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন রাত। নির্বাচনী রাতে এখনো বড় ধরণের কিছু ঘটেনি বা বড় কোন খবর আসেনি।


রেজাল্ট নিয়ে আপত্তির সম্ভাবনা কতটা?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন, কে বিজয়ী হয়েছেন, সেটা জানতে কয়েকদিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। সাধারণত ভোটের পরদিন ভোর হতে হতেই কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কোন কোন সমং ভোটগণনা শেষ হতে কয়েকদিনও লেগে যেতে পারে।


ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের ভোটের পর নিউইয়র্কে তার বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ভোররাত তিনটের দিকে, উল্লসিত সমর্থকদের সামনে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে।


তবে কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জানতে হয়তো কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।


এর কারণ - এবার ডাকযোগে দেয়া ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবশেষ যে নির্বাচনে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল তা হলো ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।


সেবার রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনী যুদ্ধ, যার পরিণামে ফ্লোরিডা রাজ্যের ভোট পুনর্গণনা করতে হয় এবং ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।


অবশেষে বুশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডার ২৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ এবং বিজয় নিশ্চিত হয়। গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন।


মন্তব্যসমূহ