হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভ্যাকসিন ছাড়াই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে : ডব্লিউএইচও

 




বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালক সতর্ক করে বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বা ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ মোকাবিলা অবশ্যই প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন ছাড়াই করতে হবে। কারণ ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ চলার সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে না। সংবাদ সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।


ডব্লিউএইচওর জরুরি কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান  সতর্ক বার্তা জানিয়ে বুধবার আরো বলেন, ভ্যাকসিনকে একক কোনো যাদুকরী সমাধান হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে প্রশ্নোত্তর পর্বে মাইকেল রায়ান বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় উল্লেখযোগ্য হারে সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাতে চার থেকে ছয়মাস সময় লাগবে। অথচ অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ চলছে এবং তা চলবে।’


করোনার ভ্যাকসিন ছাড়াই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে বলে মাইকেল রায়ান উল্লেখ করেন।


মাইকেল রায়ান সতর্ক করে আরো বলেন, ‘কেউ কেউ ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান বিবেচনা করছে। কিন্তু আমরা যদি ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান ভাবি, তাহলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় পৌঁছাবে না।’


করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সামনের সারিতে থাকা ওষুধ প্রস্তুতকারক দুই প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও বায়োএনটেকের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ বছর তারা পাঁচ কোটি টিকা উৎপাদন করতে পারবেন। কিন্তু বিশ্বের জনসংখ্যার তুলনায় টিকা উৎপাদনের এ সংখ্যা নগন্যই বলা চলে। তবে আশা ছড়াচ্ছে, আরো ১২টি টিকা উৎপাদন প্রচেষ্টা। এদের মধ্যে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান মডার্না দাবি করেছে, তাদের তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা ভাইরাস প্রতিরোধে শতকরা ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ সাফল্য দেখিয়েছে।


এ ছাড়া রুশ প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক ভি’ শতকরা ৯২ ভাগ্য সফলতা দেখিয়েছে বলে উৎপাদক সংস্থার দাবি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রচেষ্টাও আশা ছড়াচ্ছে। তবে করোনার টিকা বিতরণের ব্যাপারটিতে যেন বৈষম্য না করা হয়, সে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মন্তব্যসমূহ