জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ইসরাইলি অবরোধের কারণে গাজার ১৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি : জাতিসঙ্ঘ

 




ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর ২০০৭ সালে ইসরাইল কঠোর অবরোধ আরোপ করার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।


জাতিসঙ্ঘ কনফারেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা আঙ্কটাডের এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আঙ্কটাডের গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক রিচার্ড কজুল রাইট বলেন, অন্য কোনোকিছুর দিকে তাকানোর সময় নেই বরং গাজার মানুষের জন্য উন্নয়ন হওয়াটা জরুরি।


ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার ওপর ২০০৭ সাল থেকে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে এবং ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন এবং অবরোধের কারণে গাজার দারিদ্র্য বেড়েছে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অন্তত চার গুণ।


আঙ্কটাডের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারাবিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অর্থনীতির ভেতরে রয়েছে গাজা। পাশাপাশি ইসরাইল সামরিক আগ্রাসন চালানোর সময় গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণকে যেমন হত্যা করেছে তেমনি বেসামরিক স্থাপনা এবং হাজার হাজার কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে।


ইসরাইলি অবরোধ এবং আগ্রাসনের কারণে যে ক্ষতির রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয় বরং একটি অংশমাত্র। এতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু সামরিক আগ্রাসন এবং অবরোধের কারণে আরো যে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার অর্থ হলো অনেক বেশি।


সূত্র : পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ