শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ইসরাইলি অবরোধের কারণে গাজার ১৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি : জাতিসঙ্ঘ

 




ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর ২০০৭ সালে ইসরাইল কঠোর অবরোধ আরোপ করার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।


জাতিসঙ্ঘ কনফারেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা আঙ্কটাডের এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আঙ্কটাডের গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক রিচার্ড কজুল রাইট বলেন, অন্য কোনোকিছুর দিকে তাকানোর সময় নেই বরং গাজার মানুষের জন্য উন্নয়ন হওয়াটা জরুরি।


ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার ওপর ২০০৭ সাল থেকে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে এবং ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন এবং অবরোধের কারণে গাজার দারিদ্র্য বেড়েছে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অন্তত চার গুণ।


আঙ্কটাডের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারাবিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অর্থনীতির ভেতরে রয়েছে গাজা। পাশাপাশি ইসরাইল সামরিক আগ্রাসন চালানোর সময় গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণকে যেমন হত্যা করেছে তেমনি বেসামরিক স্থাপনা এবং হাজার হাজার কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে।


ইসরাইলি অবরোধ এবং আগ্রাসনের কারণে যে ক্ষতির রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয় বরং একটি অংশমাত্র। এতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকটি তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু সামরিক আগ্রাসন এবং অবরোধের কারণে আরো যে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার অর্থ হলো অনেক বেশি।


সূত্র : পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ