হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ফরাসি পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিলেন এরদোয়ান

 





হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে ফরাসি পণ্য-সামগ্রী বর্জনের ডাক দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে আজ সোমবার এরদোয়ান দেশটির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।


ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের কঠোর অবস্থান নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই আহ্বান জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।


এরদোয়ান বলেছেন, ‘ফ্রান্সে বলা হয়েছে তুরস্কের পণ্য-সামগ্রী বয়কট করতে। আমি তুরস্কের সব নাগরিককে একই আহ্বান জানাচ্ছি। কখনোই কোনো ফরাসি ব্র্যান্ডকে সহায়তা করবেন না। তাদের লেবেলযুক্ত পণ্য সামগ্রী কিনবেন না।’


তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের আমদানির দশম এবং রপ্তানির সপ্তম বৃহত্তম উৎস হলো ফ্রান্স। তুরস্ক যেসব পণ্য ফ্রান্স থেকে আমদানি করে সেসবের মধ্যে সর্বাধিক বিক্রিত অটো-সামগ্রী।


এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যে অনেক আরব দেশেই ফরাসি জিনিস, বিশেষ করে মেকআপ সামগ্রী ও সুগন্ধী আর বিক্রি করা হচ্ছে না। ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব দেশগুলোর শপিং মল বা দোকানের তাক খালি করে দেওয়া হয়েছে।


মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর অবস্থানের সমালোচনাও করেন এরদোয়ান। এর আগে শনিবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘মুসলিমদের নিয়ে এমানুয়েল মাখোঁর সমস্যা আছে। এ জন্য তার মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা দরকার।’ তুর্কি প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর রাজধানী আঙ্কারা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফ্রান্স।


গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ওই শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়া, প্যারিসের বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের ছবি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


এক টুইট বার্তায় এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘আমরা কখনোই ইসলামী মৌলবাদের কাছে নতি স্বীকার করবো না।’ ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই অবস্থানের প্রতিবাদে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জন শুরু হয়।

মন্তব্যসমূহ