হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইরানের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসা করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি

 




মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যেসব দেশ বা ব্যক্তি এখন থেকে ইরানের সঙ্গে অস্ত্র কেনাবেচা করবে, সেসব দেশ ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।


১৮ অক্টোবর থেকে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর পম্পেও এ প্রতিক্রিয়া জানালেন। খবর আরব নিউজের।


২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার ওয়াশিংটনে এক বক্তব্যে বলেন, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশ ইরানে অস্ত্র বিক্রি করলে বা ইরান থেকে অস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটন সেই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।


এ ছাড়া পম্পেও দাবি করেন, ইরানের কাছে প্রচলিত সমরাস্ত্র বিক্রি কিংবা তেহরানের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের শামিল।


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়বে এবং ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ হাতে বিপজ্জনক সমরাস্ত্র চলে যাবে।


১৮ অক্টোবর থেকে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে গেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমেরিকা সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা নবায়নের চেষ্টা করলেও পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য দেশ এর বিরোধিতা করেছে।

মন্তব্যসমূহ