হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি চীনের

 





তাইওয়ানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। চীনের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে গত কয়েক দিনে বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনীকে নিয়ে আসা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যথাসম্ভব তাইওয়ানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।


চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে বলেছিলেন। এরপরই চীনা সেনার এই গতিবিধি তাইওয়ানে সেনা অভিযানের সম্ভাবনাকেই জোরালো করেছে। 


জানা গেছে চীন, পুরোন ডিএফ-১১এস এবং ডিএফ-১৫এস মিসাইলের বদলে অত্যাধুনিক ডিএফ- ১৭ হাইপারসনিক মিসাইল নিয়ে এসেছে ওই অঞ্চলে। এই মিসাইল নিখুঁতভাবে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। 


চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। প্রয়োজনে তাইওয়ান দখলে সেনাকে ব্যবহার করা হবে, সে সম্ভাবনার কথা অতীতে স্বীকারও করে নিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের আশপাশে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


গত ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে প্রায় ৪০টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়ে যায়। এই ঘটনাকে দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে বিপদ সংকেত বলে উল্লেখ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।


উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে চিনের ফুজিয়ান এবং গুয়ানডংয়ে মেরিন কর্পস এবং রকেট ফোর্সের পরিকাঠামোও সাম্প্রতিককালে অনেকটাই শক্তিশালী করা হয়েছে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ ক্রমেই বাড়ছিল। করোনার মধ্যেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীন সত্যিই তাইওয়ানকে আক্রমণ করলে আমেরিকার ভূমিকা কী হয়, সেদিকেও নজর রয়েছে সবার। 


মন্তব্যসমূহ