শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি চীনের

 





তাইওয়ানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। চীনের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে গত কয়েক দিনে বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনীকে নিয়ে আসা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যথাসম্ভব তাইওয়ানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।


চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে বলেছিলেন। এরপরই চীনা সেনার এই গতিবিধি তাইওয়ানে সেনা অভিযানের সম্ভাবনাকেই জোরালো করেছে। 


জানা গেছে চীন, পুরোন ডিএফ-১১এস এবং ডিএফ-১৫এস মিসাইলের বদলে অত্যাধুনিক ডিএফ- ১৭ হাইপারসনিক মিসাইল নিয়ে এসেছে ওই অঞ্চলে। এই মিসাইল নিখুঁতভাবে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। 


চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। প্রয়োজনে তাইওয়ান দখলে সেনাকে ব্যবহার করা হবে, সে সম্ভাবনার কথা অতীতে স্বীকারও করে নিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের আশপাশে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


গত ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে প্রায় ৪০টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়ে যায়। এই ঘটনাকে দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে বিপদ সংকেত বলে উল্লেখ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।


উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে চিনের ফুজিয়ান এবং গুয়ানডংয়ে মেরিন কর্পস এবং রকেট ফোর্সের পরিকাঠামোও সাম্প্রতিককালে অনেকটাই শক্তিশালী করা হয়েছে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ ক্রমেই বাড়ছিল। করোনার মধ্যেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীন সত্যিই তাইওয়ানকে আক্রমণ করলে আমেরিকার ভূমিকা কী হয়, সেদিকেও নজর রয়েছে সবার। 


মন্তব্যসমূহ