জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

অটোরিকশা চালকের সততা, ফেরত দিলেন ১৪ লাখ টাকা

 





ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া সাড়ে ১৪ লাখ টাকা তিনদিন পর মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন অটোরিকশা চালক মনির হোসেন।


রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া নিজ অফিসে টাকার মালিক রহিমা বেগমের কাছে টাকাগুলো তুলে দেন।


রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মনির হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহিমা বেগমসহ চারজন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মনির হোসেনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে চিনাইর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান।

এ সময় তাদের সাথে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। রহিমা বেগম অটোরিকশা থেকে নামার সময় ভুলে তার ব্যাগটি অটোরিকশায় রেখে চলে যান।



গত শনিবার সকালে অটোরিকশা চালক মনির হোসেন সিটের পেছনে একটি ব্যাগ দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের তার ফুফা মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে অবহিত করেন। পরে সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে সানু মিয়া বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে অবহিত করেন।


রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া তার কার্যালয়ে ডেকে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো তুলে দেন। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করে অটোরিকশা চালক মনির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।


এ ব্যাপারে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। শনিবার সকালে অটোরিকশা পরিস্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পেয়েছি। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমিও খুব খুশি।


এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা অটোরিকশায় ফেলে যান। চালক মনির হোসেন বিষয়টি জানালে আমি প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো তুলে দেই। মানবিক বিবেক জাগ্রত আছে বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


somoynews

মন্তব্যসমূহ