হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অটোরিকশা চালকের সততা, ফেরত দিলেন ১৪ লাখ টাকা

 





ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া সাড়ে ১৪ লাখ টাকা তিনদিন পর মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছেন অটোরিকশা চালক মনির হোসেন।


রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া নিজ অফিসে টাকার মালিক রহিমা বেগমের কাছে টাকাগুলো তুলে দেন।


রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মনির হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহিমা বেগমসহ চারজন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মনির হোসেনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে চিনাইর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান।

এ সময় তাদের সাথে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। রহিমা বেগম অটোরিকশা থেকে নামার সময় ভুলে তার ব্যাগটি অটোরিকশায় রেখে চলে যান।



গত শনিবার সকালে অটোরিকশা চালক মনির হোসেন সিটের পেছনে একটি ব্যাগ দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের তার ফুফা মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে অবহিত করেন। পরে সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে সানু মিয়া বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে অবহিত করেন।


রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া তার কার্যালয়ে ডেকে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো তুলে দেন। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করে অটোরিকশা চালক মনির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।


এ ব্যাপারে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। শনিবার সকালে অটোরিকশা পরিস্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পেয়েছি। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমিও খুব খুশি।


এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা অটোরিকশায় ফেলে যান। চালক মনির হোসেন বিষয়টি জানালে আমি প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো তুলে দেই। মানবিক বিবেক জাগ্রত আছে বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


somoynews

মন্তব্যসমূহ