জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

নীলা হত্যার প্রধান আসামি মিজান ৭ দিনের রিমান্ডে

 





সাভারের আলোচিত স্কুলছাত্রী নীলা রায় (১৪) হত্যাকাণ্ডের মামলায় প্রধান আসামি মিজানুর রহমানের (২০) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


শনিবার সকালে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।


সিনিয়ার জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে শনিবার বিকালে শুনানি শেষে আদালত ওই আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে আলোচিত প্রধান আসামি মিজানকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার কর্নেল ব্রিক ফিল্ডের পাশে জনৈক পারভেজের টিনসেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।


এদিকে মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা (৫০) ২ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম ওই আদেশ দেন।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিজানুরের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।


গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রাম এলাকা থেকে আবদুর রহমান চৌধুরী (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৫০) গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।


গ্রেফতার আবদুর রহমান নীলা রায় হত্যা মামলার ২ নম্বর ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা ৩ নম্বর আসামি। তারা সাভার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এ-৭৪/২ ব্যাংক কলোনির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।


নীলা রায় হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মানিগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে সেলিম পালোয়ান নামে সন্দেহভাজন এক যুবককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি মিজানুরের প্রতিবেশী ও হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।


গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলা রায়কে ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মিজানুর। নীলার পরিবারের দাবি, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।


এ ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে নিহতের বাবা নারায়ণ রায় সাভার থানায় মিজানুর, তার বাবা আবদুর রহমান চৌধুরী, মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্যসমূহ