হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

প্রথমবারের মতো ভূখণ্ডে চীনের অনুপ্রবেশ স্বীকার করল ভারত



শেষ পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে চীনা সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের কথা সরকারিভাবে স্বীকার করল নয়াদিল্লি।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জুন মাসের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে চীনা আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে চলেছে। গত ১৭-১৮ মে চীনা সেনারা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং সরোবরের উত্তর তীরবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে।’

একই সঙ্গে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঘটনার জেরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পরিস্থিতির মীমাংসা করতে ৫ মে সশস্ত্র আদান-প্রদান ঘটেছে। ৬ মে দুপক্ষের মধ্যে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। যদিও এর পর গত ১৫ জুন দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত হয়, যার কারণে দুপক্ষেই বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়ে, ‘সংঘর্ষের পর সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে ২২ জুন দ্বিতীয় কর্পস কমান্ডার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। যদিও সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালু রয়েছে। আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে এই অচলাবস্থা বেশ কিছু সময় বহাল থাকবে।’

‘পূর্ব লাদাখে চীনের একতরফা আগ্রাসনের কারণে অত্যন্ত সংবেদনশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ওপরে কড়া নজরদারি ও প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’

এর আগে বিভিন্ন সূত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে সোচ্চার হলেও এবং বিরোধীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নরেন্দ্র মোদির সরকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিল।

এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সেই কৌতূহলের নিরসন ঘটল।

প্রসঙ্গত গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যাকায় চীন ও ভারতের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জওয়ান নিহত হন।

মন্তব্যসমূহ