জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

আবারও কৃষ্ণাঙ্গের শরীরে ৭ গুলি, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

 



আবারও বর্ণবৈষম্য বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। কৃষ্ণাঙ্গ এক মার্কিনীকে পুলিশের গুলির ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ছড়িয়েছে উত্তাপ। কারফিউ জারি, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়ন করেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি পরিস্থিতি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উইসকনসিন রাজ্যে। কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর বারবার পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে রাজ্যটির প্রশাসন।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ফুটেজে ব্লেকের শার্ট টেনে ধরে অন্তত সাতবার গুলি ছুঁড়তে দেখা যায় পুলিশকে। গাড়ির ভেতরে চোখের সামনে বাবাকে নির্মমতার শিকার হতে দেখে ৩, ৫, আর ৮ বছর বয়সী তিন শিশুসন্তান। হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ব্লেক। পুলিশের হঠাৎ আক্রমণাত্মক আচরণে পরিবারের সদস্যরাও ভীত।


জ্যাকব ব্লেকের বাগদত্তা লাকুইশা বুকার বলেন, ‘দুই পুরুষ আর এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা হঠাৎ এসে কিছু না বলেই হাতকড়া পড়িয়ে দিল। কোনো প্রশ্ন নেই, কারণ ব্যাখ্যা করা নেই। সন্তানদের গাড়ি থেকে নামাতে যাবো, তখনি এমন উন্মত্ত আচরণ পুলিশের।’


স্থানীয় সময় রোববার বিকালের এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে উইসকনসিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যজুড়ে মাঠে নামে ন্যাশনাল গার্ড। ঘটনাস্থল কিনোশা শহরে জারি করা হয় কারফিউ। যদিও ক্ষোভ দমন হয়নি। সোমবারও সহিংস ছিল পরিস্থিতি। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


উইসকনসিনের গভর্নর টোনি ইভার্স ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে আছেন জানিয়ে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তাধীন। ভুক্তভোগী পরিবার আর কিনোশার মানুষের পাশে আছি আমরা। কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে তা জানা বাকি। তবে ব্লেক বর্বরতার শিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে যা করার সবটা করা হবে।’


ব্লেকের ওপর পুলিশের এমন নির্দয় আচরণের কারণ অস্পষ্ট। তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে। প্রতিবেদন পেতে লেগে যেতে পারে ৩০ দিন।


গেলো ২৫ মে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে প্রকাশ্যে গলায় পাড়া দিয়ে হত্যা করে মিনেসোটা পুলিশের সদস্যরা। সে ঘটনায় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান নিয়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ছড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও।

মন্তব্যসমূহ