হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২২০



লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়ে।


মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ১১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর আলজাজিরা ও ফক্স নিউজের।


এদিকে বৈরুতে চলমান সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার এ ঘোষণা এলো।


এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের অধিবেশন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দেশটির সরকার পদত্যাগ করেছে।


রাজধানী বৈরুতে গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর শনিবার থেকে দেশটির সাধারণ জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে রাস্তায় নেমে আসেন। দেশটিতে চলমান বিক্ষোভের মুখে এর আগে তথ্যমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।


বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর এতে আহত হয়েছেন অনন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ।


বৈরুত বিস্ফোরণের পর হাজার হাজার ক্ষুব্ধ মানুষ শনিবার রাস্তায় নেমে আসেন। তারা রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের দাবি সরকারের পদত্যাগ। এ লক্ষ্যে তারা চারটি মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসেও ঢুকে পড়েন।

মন্তব্যসমূহ