হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বিয়ের ফটোশুটের মধ্যেই বৈরুত বিস্ফোরণ! কনের প্রশ্ন 'মরে যাব না তো?' (ভিডিও



লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অনেকে এটাকে হিরোশিমার পারমাণবিক বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির বহু ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে।

সে রকমই একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের ফটোশুট করছিলেন এক কনে। সে সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারপাশ। ক্যামেরাও গেল সরে। তার পর শুট বন্ধ করেই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে লাগলেন ওই কনে ও ফটোগ্রাফাররা।

লেবানিজ ওই কনের নাম ইসরা সেবলানি। ২৯ বছরের ওই তরুণী আমেরিকায় চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেন। বিয়ের জন্য সপ্তাহ তিনেক আগে বৈরুতে এসেছেন তিনি। তার হবু স্বামী আহমদ সুবেই বৈরুতের এক জন ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার মধ্য বৈরুতের সাইফি স্কয়ারের কাছে ওয়েডিং ফটোশুট করেছিলেন সেবলানি। তা চলতে চলতেই ঘটে বিস্ফোরণ। সেই ঘটনা ক্যামেরাম্যান মাহমুদ নাকিবের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ফোটোশুট চলতে চলতে হঠাৎ বিকট আওয়াজ হল। কেঁপে উঠল চারপাশ। সেবলানির উপর থেকে ক্যামেরার ফোকাসও সরে গেল। আশপাশে যে সব বাড়ি ঘর ছিল, তার জানলার কাঁচ গুড়িয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ল। সেবলানির দুধসাদা গাউনও তখন এলেমেলো হয়ে গেছে। সেই সময় হতভম্ব হয়ে পড়া সেবলানি সহ বাকিরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করেছেন।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে সে দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সেবলানি। বলেছেন, 'দু’সপ্তাহ ধরে আমি আমার বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিয়ের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ছিলাম। কিন্তু ফটোশুটের সময় যা ঘটল তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমি ভীত হয়ে পড়েছিলাম। মরে যাব না তো?' বিস্ফোরণের ভয়াবহতা থেকে তিনি যে এখনো বেরোতে পারেননি, সে কথাও ওই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

সূত্র : আনন্দবাজার।

মন্তব্যসমূহ