হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাশ্মিরে আবারো সংঘর্ষ, ১ ভারতীয় সেনা ও ১ উগ্রবাদী নিহত

 



ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় এক সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর এক জওয়ান ও এক উগ্রবাদী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় সংঘর্ষস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, কিছু গ্রেনেড ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।


নিহত সেনা জওয়ান জিলাজিৎ যাদব (২৫) জৌনপুর জেলার জালালপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ভারতীয় রাইফেলসের ৫৩ ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। আজ সকালে ওই জওয়ানের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার পরিবার ও নিজ গ্রামে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।


কর্মকর্তারা বলেন, পুলওয়ামার কামরাজিপোরা গ্রামের একটি বাগানে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এসময়ে সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।


কর্মকর্তারা আরও বলেন, সংঘর্ষে এক উগ্রবাদী নিহত হয়। ওই ঘটনায় দুই সেনা আহত হলে তাদেরকে এক সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় আহত এক সেনার মৃত্যু হয়।


এদিকে, আজ অন্য একটি ঘটনায় অজ্ঞাত গেরিলারা সোপোরে আচমকা নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি দলের উপরে হামলা চালালে এক সেনা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। কাশ্মির উপত্যকায় গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় সংঘর্ষের ঘটনা। আহত ওই সেনাকে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনারা উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিলেও ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী গেরিলারা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।


সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ জওয়ানদের যৌথবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে আক্রমণকারীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ