হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হিজাব পরার অনুমতি পেলেন জার্মানির মুসলিম শিক্ষিকারা

 




জার্মানির বার্লিনে একটি স্কুলে হিজাব পরার অনুমতি পেলেন সেখানকার মুসলিম শিক্ষিকারা। এক নারীর আবেদনের ভিত্তিতে গত কয়েক বছর ধরে হিজাব পরার অনুমতির জন্য একটি মামলা চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) জার্মানির একটি আদালতে এই ঐতিহাসিক এই রায় দেওয়া হয়।


জার্মানিতে নিরপেক্ষতার আইন রয়েছে যার অর্থ স্কুলে বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহারকারী কোন পোশাক পরিধান করে যাওয়া যাবে না। আর সে কারণেই স্কুলে হিজাব বা স্কার্ফ পরে যেতে পারতেন না সেখানকার মুসলিম শিক্ষিকারা। 


বার্লিনে বসবাসকারী একজন মুসলিম নারী এই নিয়মের বিরুদ্ধে বার্লিন আদালতে একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিন শুনানির পর ২০১৮ সালে বার্লিনের নিম্ন আদালত ওই নারীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।


সেই রায়ে বলা হয়েছিল, এখন থেকে হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারবেন মুসলিম নারীরা। একই সঙ্গে ওই নারীকে ৫ হাজার ১৫৯ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পক্ষের উকিল পরে উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।



বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত তার রায় জানিয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের সঙ্গে কোনও অংশেই দ্বিমত পোষণ করেননি উচ্চ আদালত।


রায়ে বলা হয়, হিজাব পরে যদি কোন মুসলিম নারী স্কুলে যান এবং তাতে যদি শান্তিভঙ্গ না হয়, তাহলে এতে কোন অন্যায় নেই। হিজাব পরা এক ধরনের অধিকার। তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। ফলে মুসলিম শিক্ষিকারা চাইলে স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারেন। 


বার্লিনে বসবাসকারী ওই মুসলিম নারীরা বলছেন, এটা তাদের একটা বড় বিজয়।


স্কুলে হিজাব পরা নিয়ে কিছু দিন আগে জার্মানির বেশ কয়েকটি রাজ্যে অশান্তি দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু রাজ্য স্কুলে হিজাব, বোরখা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তখনও ধর্মীয় অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠেছিল। বার্লিনের আদালতের রায় এবার দেশের অন্য আদালতগুলিকেও প্রভাবিত করবে বলে অনেকে মনে করছেন।


তবে জার্মান বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, জার্মানির নিউট্রালিটি বা নিরপেক্ষতার আইন খুব শক্তিশালী। বার্লিন আদালতের রায় এবং নিরপেক্ষতার আইনের মধ্যে কীভাবে সামঞ্জস্য রক্ষা করা হবে, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। 


সূত্র: ডয়েচে ভেলে

মন্তব্যসমূহ