হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অস্ত্রোপচারে যুবকের পেট থেকে বের হলো হাতলসহ ছুরি!



নেশার ঘোরে তার ইচ্ছা জেগেছিল ছুরি খাওয়ার! এরপর ২০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি ছুরি গিলে ফেলেছিলেন। ছুরিটি গিলে খাওয়ার পর সে স্মৃতি ভুলেও গিয়েছিলেন তিনি। 

কিন্তু পরে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। আর তখন বিষয়টি মনে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পেটে অস্ত্রোপচার চালিয়ে ভারতের দিল্লির এমসের চিকিৎসকরা বের করেন ওই ছুরি। পেট থেকে ছুরি উদ্ধারের এ ঘটনা কার্যত বিরল।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের শুরুর দিকে। হরিয়ানার এক যুবক দীর্ঘদিন গাঁজা সেবন করেন। চিকিৎসকদের ধারণা, নেশার ঘোরে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ওই ছুরি গিলে ফেলেন ওই যুবক। তার অপারেশনের দায়িত্বে থাকা এমসের গ্যাস্ট্রো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এন আর দাশ বলেন, ছুরিটি খাদ্যনালি দিয়ে নীচে নামার সময়ে শ্বাস বা খাদ্যনালীকে চিরে দিতে পারত। এমনকি, ফুসফুস বা হৃদপিণ্ডে আঘাত করতে পারত। 

যুবকের কপাল ভালো যে তেমন কিছু ঘটেনি। কিন্তু আরো নীচে নেমে তা লিভারে গিয়ে আঘাত করে। ফলে পেটে অসম্ভব ব্যথা শুরু হয়। পরে পেটের এক্সরে করলে ছুরি ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, উদ্ধার হওয়া ওই ছুরিটির ধারাল অংশ ১০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ। বাকি অংশটি হাতল।

গত ১২ জুলাই দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতাল থেকে তাকে এমসে পাঠানো হয়। এমস সূত্রে জানা গেছে, সে সময় ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হতে শুরু করে। সেপ্টেসেমিয়ার লক্ষণ ধরা পড়তে শুরু করে তার। ফুসফুসে পানি জমে যায়। লিভারে পুঁজ জমতে থাকে। রক্তে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ ছয়ে নেমে আসে।

চিকিৎসক দাশ জানান, এর মধ্যে ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের আগে প্রায় সাত দিন ধরে কাউন্সিলিং দেওয়া হয় ওই যুবককে। শেষে ১৯ জুলাই ওই ব্যক্তির অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আপারেশন চলে।  ছুরিটি বের করার কারণে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমনকি ছুরিটি গেঁথে থাকায় লিভারের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারত। সে ক্ষেত্রে তা কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্যসমূহ