হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আয়া সোফিয়ায় আজ প্রথম জুমা (ছবি)



আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপ দেয়ার পর প্রথমবারের মতো সেখানে জুমার নামাজ আদায় হতে যাচ্ছে।


ইস্তানবুলের গভর্নর আলী ইয়ারলিকায়া বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় বলেন, মুসলমানরা আবেগে আনন্দিত। তারা সেখানে প্রথম জুমায় অংশ নিতে অধীর হয়ে আছেন।


দেড় হাজার বছরের পুরনো ইউনেস্কোর এই বিশ্ব ঐতিহ্যটি ১৯৩৪ সালে জাদুঘর বলে ঘোষিত হয়েছে।

কিন্তু চলতি সপ্তাহে আয়া সুফিয়ার জাদুঘরের মর্যাদা বাতিল ঘোষণা করেন একটি তুর্কিশ আদালত।

রায়ে বলা হয়, এই ভবন মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার সম্ভাব্য বৈধ হবে না।


পরে ২৪ জুলাই থেকে সেখানে জুমা আদায় করা হবে বলে ঘোষণা আসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের কাছ থেকে।

তবে ভবনটি অমুসলিম ও বিদেশি পর্যটকদের জন্যও খোলা রাখার কথা তিনি জানিয়েছেন।



তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে সমালোচনাও এসেছে।

অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ক্যাথেড্রাল হিসেবে নির্মিত আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হয় নবম শতকে উসমানীয় বিজয়ের পরে।


টেলিভিশনে দেয়া ঘোষণায় গভর্নর বলেন, জুমা পড়তে আসা মুসল্লিদের ফেস মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে একটি জায়নামাজও নিয়ে যেতে হবে।

সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরাও থাকবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র আলী।


তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আলী এরবিস বলেন, মসজিদটিতে একসঙ্গে এক হাজার লোক জামাতে অংশ নিতে পারবেন।


দেশটির বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা তার বিরোধিতায় সরব ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ