হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইরানি বিমান হয়রানির পর গোপন সফরে ইসরাইল গেছেন মার্কিন শীর্ষ জেনারেল



ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান হয়রানি করার পর ইহুদিবাদী ইসরাইলে গোপন সফরে গেছেন আমেরিকা জয়েন্টস চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। তার এ সফরের মধ্যদিয়ে আমেরিকা ও ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরানবিরোধী নতুন কোন অপকর্ম করা হতে পারে বলে আশঙ্কা জোরদার হয়েছে।

তেল আবিব সফরে গিয়ে জেনারেল মিলি ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও গুপ্তচর সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বিমানঘাঁটিতে বৈঠক করেন। এছাড়া, ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মার্কিন সেনাপ্রধান বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে তিনি আঞ্চলিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ জানান, মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যেকোন পরিস্থিতি এবং হুমকি মোকাবেলার জন্য ইসরাইলের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং শত্রুকে আমাদের পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।”

এর একদিন আগে সিরিয়ার আকাশসীমায় আমেরিকার দুটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ইরানের একটি বেসামরিক যাত্রীবাহী বিমানকে বিপজ্জনকভাবে বাধা দেয়। এ ঘটনার জন্য ইরান কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মারাত্মক পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ