শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ১২ বছর কারাদণ্ড



মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির সবকটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২১০ মিলিয়ন রিংগিত জরিমানা করেছে।


মঙ্গলবার নাজিবের বিরুদ্ধে আনা ৭ অভিযোগের প্রত্যেকটিতেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন। খবর মালয় মেইলের।

কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজলামন মোহাম্মদ গাজালি মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, বিচারের সব সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনার পর, আমি দেখেছি কৌঁসুলিরা সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে এই মামলা যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে।

এই মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মামলার শুনানিতে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছিলেন।

এদিকে রায় ঘোষনার পর নাজিব সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উওেজনা বিরাজ করছে। দিনভর আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন তার সমর্থকরা। মিটিং ও প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা গেছে তাদের। নাজিব রাজাক এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর আদালত সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেন।

আস্থা লঙ্ঘন, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাতটি মামলার মোকাবেলা করতে হয়েছে নাজিবকে।

সাবেক ওয়ানএমডিবি’র ইউনিট এসআরসি থেকে এক কোটি ডলার অবৈধভাবে নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।


দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধরপাকড়ে দেশটির চেষ্টার প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই মামলাকে। যাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন নাজিব। ওয়ানএমডিবি থেকে সাড়ে চার কোটি ডলার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কৌঁসুলিদের দাবি, তহবিল থেকে এক কোটির বেশি ডলার তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে শত শত সমর্থক এসে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আদালতে আসলে সমর্থকরা তার ‘দীর্ঘ জীবন’ কামনা করে স্লোগান দেন।

ফেস মাস্ক পরা নাজিব আদালতে ঢোকার সময় দলের শীর্ষ নেতারা তার চারপাশে ছিলেন।

নাজিবের আইনজীবীরা বলেন, মালয়েশীয় অর্থদাতা জো লো ও ওয়ানএমডিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা নাজিবকে ভুল পথে নিয়ে গেছেন। তাকে বলা হয়েছিল যে তার অ্যাকাউন্টে যে তহবিল জমা করা হয়েছে, তা সৌদি রাজপরিবার দান করেছে। এটা যে এসআরসি থেকে তসরুফ করা, তা তাকে বলা হয়নি।

তবে জো লো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নাজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পাঁচ বছরের বেশি ঝুলে ছিল। কিন্তু তাকে হারিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বে নাজিবের দল আবার ক্ষমতায় আসায় এই মামলাকে দেশটি থেকে দুর্নীতি উৎখাতের বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ