হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনা: মা যতক্ষণ বেঁচেছিলেন, হাসপাতালের জানলায় বসে রইল ছেলে



সন্তানের জন্য মায়ের আত্মত্যাগের কথা কে না জানে? এ জগতে একমাত্র মা-ই সন্তানের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারেন। তবে বড় হতে হতে অনেক সময় আমরা ভুলে যেতে থাকি মায়ের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ। কিন্তু বহু বছর আগে বায়েজিদ বোস্তামি ছিলেন যেন একটু অন্যরকম। তাঁর মাতৃভক্তি ছিল অসামান্য।

বর্তামান যুগে যেন এমন মাতৃভক্তির দৃষ্টান্ত পাওয়াই অনেকটা কঠিন কাজ। কিন্তু তবু, কোথাও যেন মা-সন্তানের সম্পর্ক আলাদা হয়ে যায় সব কিছু থেকে। ঠিক যেমন করোনার এই দুঃসময়ে ঘটল। করোনা দুঃসময়ে মাতৃভক্তি দিয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছেন এক ফিলিস্তিনি তরুণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে কয়েকতলা ওপরে কাচের দেওয়ালের পাশে ভেতরের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। বয়স বেশি নয়। কিন্তু কেন এমন হাসপাতালের জানলার পাশে বসে আছেন তিনি?‌ সেই বিষয়ের সন্ধান করতেই বেরিয়ে এসেছে অবাক করা তথ্য। 

ওই তরুণের নাম জিহাদ আল সুয়াইতি। বয়স ৩০। তাঁর মা করোনা আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি মা–কে দেখতে যাওয়ার অনুমতি স্বাভাবিকভাবেই পাননি ছেলে। তাই তিনি অপেক্ষা করেছেন জানলার পাশে বসে। শেষ সময়ে মায়ের কাছ থেকে সরে যেতে চাননি। জানলা দিয়েই তিনি দেখেছেন, মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। যতদিন মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ততদিন রোজ রাতে ওই জানলার ধারে বসে থাকতেন এই তরুণ। মোহাম্মাদ সাফা নামে একজন এই ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন এই বিষয়টি। 

করোনা আক্রান্ত মায়ের আগে থেকেই ছিল লিউকোমিয়া। পাঁচদিন তাঁকে ভর্তি থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেই তরুণ সন্তান বলেন, আমার অসহায় লাগতো। তাই হাসপাতালের জানলার ধারে বসে থাকতাম। মাকে দেখতে।

মন্তব্যসমূহ