হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হাসপাতালে নেয়ার পথে করোনায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু





দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানা পুলিশের কনস্টেবল এনামুল হক (৪৬) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৯ জুন) গভীর রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেয়ার পথে বুধবার (১০ জুন) সকালে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত সোমবার (৮ জুন) দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১৯ জন পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর তথ্য জানায় পুলিশ সদর দফতর।

বীরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল এনামুল হক গত মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। গত ২ জুন এনামুল হকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ওইদিন রাতেই তাকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন (৩ জুন) তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কয়েকদিন আইসোলেশনে থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হয়। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে এনামুল হককে ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার সকালে ঢাকা পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ কনস্টেবল এনামুল হকের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার গইছপাড়া গ্রামে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কনস্টেবল এনামুল হকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে আমরা তাকে ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি রাস্তায় মারা যান। তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। তার মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সূত্র: জাগো নিউজ

মন্তব্যসমূহ