হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তুরস্কে সবার ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে সরকার




হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তুরস্কের পুলিশ সদস্যরা। উদ্দেশ্য রুটি ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা।

করোনাভাইরাসের কারণে কারফিউ চলায় তুরস্কের নাগরিকরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এই অবস্থায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন দেশটির পুলিশ সদস্যরা।

কারফিউর মধ্যে নাগরিকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য তুর্কি পুলিশ বিশেষ কল সার্ভসের ব্যবস্থা করেছে। কল পেলেই রুটি বা প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নাগরিকদেরকে ঘরে রাখতে তুর্কি সরকারের উদ্যোগগুলোর আওতায় পুলিশ এই সেবা প্রদান করছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর কয়েকজন আলোকচিত্রি ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশের বাগলার অঞ্চলে পুলিশ এবং সামাজিক বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম অনুসরণ করেছে। তারা দেখতে পেয়েছেন, সংকটকালীন এ সময়ে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের সহযোগিতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

আনাদোলুর ছবিতে দেখা যাচ্ছে তারা নাগরিকদের, বিশেষত প্রবীণ এবং মারাত্মক অসুস্থদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীও সরবরাহ করছে।

এ সব মানবিক কাজে দেশীয় নাগরিক এবং বিদেশির মধ্যে পার্থক্য করা হয় না। পুলিশ সবার আবেদনই গ্রহণ করে থাকেন এবং সবার কাছে খাবার সরবরাহ করে থাকেন।

আনাদোলুর ক্যামরায় এমন কিছু চিত্র ধারণ করা হয়েছে যাতে দেখা যায় পুলিশ সিরিয়ান নাগরিকদেরও খাদ্য সহায়তা করছে।

শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কের অর্থমন্ত্রী ফখরুদ্দিন কুজার ঘোষণা অনুযায়ী দেশটিতে ১৮৯০ জন করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন। এরমধ্যে শুক্রবারই মারা গেছেন ১২১ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৩২৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৪৫৩ জন।

আনাদোলু আরবি অবলম্বনে- মুহাম্মাদ শোয়াইব


মন্তব্যসমূহ