শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৮৯১ জনের



যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে এক হাজার ৮৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত এই বৈশ্বিক মহামারীতে দেশটিতে ৩৮ হাজার ৬৬৪ জন মারা গেছেন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে এমন খবর জানা গেছে।-খবর এনডিটিভির


ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাত লাখ ৩২ হাজার ১৯৭ লোক আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য ‘সচেতনভাবে চীন দায়ী’ হলে দেশটিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মহামারীর মোকাবেলায় বেইজিংয়ের ভূমিকায় সমালোচনা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে চীন থেকেই তা বন্ধ করা সম্ভব হতো, কিন্তু সেটি হয়নি।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে কথার লড়াইয়ের মধ্যে সর্বশেষ মার্কিন বাক্যবাণ হচ্ছে ট্রাম্পের এই বক্তব্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ মোকাবেলায় যখন দুই দেশের মধ্যে নজিরবিহীন সহায়তা দরকার, তখন তাদের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ছে।

ট্রাম্প বললেন, যদি এটা কোনো ভুল হয়ে থাকে, ভুল তো ভুলই। কিন্তু তারা যদি সচেতনভাবেই দায়ী হয়, হ্যাঁ, আমি বলতে চাচ্ছি, তখন নিশ্চিতভাবেই তারা ফল ভোগ করবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই ব্যাখ্যা দেননি এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

গত বছরের শেষ দিন উহান থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা চীনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন।

আর চলতি সপ্তাহে ‘চীন-ঘেঁষা’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

ভাইরাসটি নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটন বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছে। যদিও প্রথম দিকে চীন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অতিরিক্ত তারিফ করেছেন ট্রাম্প।


মন্তব্যসমূহ