জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

করোনা ভাইরাস: কারণে লকডাউন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক



করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর। গত এক সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস থেকে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রেট জার্নাল এই তথ্য জানিয়েছে।

করোনাভাইরাসের সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্ক শহরের জরুরি অবস্থার জোরদার করেছে। সেখানকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়িদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটি।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম বলেন, এই এলাকার চল্লিশ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্ক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো বলেন, রাজ্যের সকল কর্মীকে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের সেবা দেওয়া হবে। প্রত্যেকে বাড়িতে নিরাপদে থাকুন এবং সরকারি আইন মানুন। যদি কেউ সরকারি আইন মেনে না চলেন তাহলে তাদের জরিমানা গুণতে হবে। 

তিনি জানান, অন্য অন্য রাজ্যের চেয়ে নিউইয়র্কের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণে আক্রান্ত রয়েছে ৭ হাজার ১০২ জনের। নিউইয়র্ক শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোতে  চাপ বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে মৃত্যুর হার বেড়েছে। গত ১৩ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৭০০ জন। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৩৩২ জনে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্যে নিউ ইয়র্ক , ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোর্নিয়া। করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।


সূত্র:  দ্য ওয়াল স্ট্রেট জার্নাল 

মন্তব্যসমূহ