হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

লাশের মিছিল আরো ভয়াল! একদিনে ৭৯৩ মৃত্যুর রেকর্ড ইতালিতে



চীনের পর করোনা সবচেয়ে ভয়াল থাবা বসিয়েছে ইতালিতে। এই মারণ ভাইরাসের কালো থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে একা একা মারা যাচ্ছেন মানুষ। আর একাই পড়ে আছেন কফিনবন্দি হয়ে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতশ ৯৩ জন মারা গেছেন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার পাঁচশ ৫৮ জন।

করোনায় ইতালির মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আজকের ৭৯৩ জন নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার পাঁচশ জনে। আর আক্রান্তের সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার পাঁচশ ৮৭ জনে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। ছয় হাজার ৭২ জন এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ইতালিতে প্রতিদিনই চলছে মৃত্যুর মিছিল। তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি শহরের মানুষ এই কঠিন সময়ের মধ্যেও খুঁজে পেয়েছে মুক্তি। উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি ও রোগীকে সতর্কতার সাথে আইসোলেশনে রাখার কারণে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে এলাকার মানুষের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।

ভেনিস থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ভো শহর। গেল মাসে ভোয়ের তিন হাজার তিনশ জনগণের করোনা টেস্ট করা হয়। ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখে দেশটিতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। হিসেব করলে জনসংখ্যার মাত্র তিন শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুরু থেকে শনাক্ত সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় এবং কোথাও যাওয়া বা কারো সাথে দেখা করার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

দু’সপ্তাহ পর বিশেষজ্ঞরা আবার পরীক্ষা করেন যেখানে করোনা পজিটিভের মাত্রা কমে দাঁড়ায় মাত্র ০.৪১ শতাংশ। চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত একজন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি আরো একবার পরীক্ষা করা হয়েছে যেখানে কারো করোনা পজেটিভ আসেনি।

মন্তব্যসমূহ