হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কারামুক্ত খালেদা জিয়া



কারামুক্ত খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিকাল চারটা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তিনি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসময় হাসপাতালে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। এর আগে কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে ২ শর্তে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শর্ত অনুযায়ি তিনি গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এই সময়ে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। বুধবার খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত সংক্রান্ত ফাইলে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তার আগে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্ত হল- এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া। প্রথমে তাকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছরের ১লা এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ দাবি করে তার পরিবার ও বিএনপির তরফে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। সর্বশেষ বয়স ও মানবিক বিবেচনায় তাকে মুক্তি দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।

মন্তব্যসমূহ