জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

সেই আয়লানের মৃত্যুতে দোষীদের ১২৫ বছরের জেল



২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রীসে আসার সময় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া শিশু আয়লান কুর্দির মৃতদেহের ছবি সারাবিশ্বকে আলোড়িত করেছিল। সেই ছবি দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সাগরপাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ছোট্ট আয়লানের মরদেহ এখনও মানব বিবেককে কাঁদায়।

প্রায় পাঁচ বছর পর ওই মর্মান্তিক ঘটনায় দোষীদের কারাদণ্ড দিয়েছেন তুরস্কের একটি আদালত। আয়লান ও তার পরিবারের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে তিন পাচারকারীকে। তাদের প্রত্যেককে ১২৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০১৫ সালের ওই ঘটনায় আয়লানের সঙ্গে মা-ভাইসহ মারা যান আরও অন্তত ১১ জন। আয়লানদের মৃত্যুতে তুরস্ক ও সিরিয়ার একাধিক পাচারকারী চক্র জড়িত বলে তদন্তে প্রকাশ হয়। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশ থেকে সেসব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে তুর্কি নিরাপত্তাবাহিনী। আয়লানদের হত্যার অভিযোগে শুক্রবার (১৩ মার্চ) ওই তিন আসামিকে ১২৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন বদ্রাম হাই ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক।

সিরিয়ার কোবানে শহরে পরিবারের সঙ্গে থাকত আয়লান। সেখানে আইএস জঙ্গিদের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে আয়লানের পরিবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। কিন্তু কানাডা কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপর তারা পাচারকারীদের সাহায্যে সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় তাদের বহনকারী নৌকাটি সাগরে ডুবে গেলে তিন বছর বয়সী আয়লান, তার পাঁচ বছর বয়সী ভাই এবং মায়ের মৃত্যু হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান আয়লানের বাবা। এ ঘটনায় নৌকার ১৬ আরোহীর মধ্যে ১২ জনই মারা যান।

পরে আয়লানের মরদেহ তুরস্কের বোদরুম সৈকতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আয়লান কুর্দির মৃতদেহের ছবি সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন তোলে এবং সিরীয় শরণার্থী সংকটের প্রতি বিশ্বের নজর ফেরায়।

মন্তব্যসমূহ