হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনাভাইরাসে ইরানে ৫০ জনের মৃত্যু




ইরানের পবিত্র শহর হিসেবে পরিচিত কোমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সির (ইলনা) বরাতে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি ও দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর যে সংখ্যা জানিয়েছিল এই সংখ্যা তার চেয়ে চারগুণ বেশি। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, করোনা সংক্রমিত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪৭ জন।


আহমাদ আমিরাবাদি ফারাহানি নামে কোম শহরের এক কর্মকর্তা ইলনাকে বলেছেন, শহরে আড়াই শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টাইন (একাকি নির্জন স্থানে) করে রাখা হয়েছে। ইরানের ওই শহর শিয়া মতাবলম্বীদের জন্য কোম হলো পবিত্র শহর। শুধু ইরান নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিয়ারা সেখানে গিয়ে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা নেন।

কোমের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ইরান সরকারিভাবি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দুজনের মৃত্যুর কথা জানায়। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে থেকে গত বছরের শেষদিকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে—যা এখন বিস্তার লাখ করেছে বিশ্বের অন্তত ২৯টি দেশে।

এর আগে গতকাল ইরানি সূত্রের বরাতে সৌদি আরবের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের উহান থেকে বিশ্বের ২৯টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইরানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গতকাল ইরান সরকারের দেয়া হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা ছিল ৮ জন।

আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সূত্র তাদের জানিয়েছে, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসিটর বিস্তার ঠেকাতে আজ রোববার থেকে আগামী দশদিন ব্যাপী দেশজুড়ে আয়োজিত সকল ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দেশটির জাতীয় নির্বাচনে (গত ২১ ফেব্রুয়ারি) ভোটারের কম উপস্থিতি ছাড়াও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিক্ষোভ করেছেন ইরানের নাগরিকরা। দেশটির উত্তরের শহর তালাশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে মহামারি মোকাবিলা বিঘ্নিত হয়েছে।

গত শনিবার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির জিলান প্রদেশের তালাশ শহরে অবস্থিত নূরানী হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ জনতা। এ নিয়ে অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছেন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে চীনে আরও ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৫৯২ জন। এছাড়া ৭৭ হাজার ১৫০ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ৩৩ (মতান্তরে ৭১) জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ২ হাজার ২৮৪ জন।

মন্তব্যসমূহ