হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সিরিয়ার সর্বত্র হামলার হুমকি দিল তুরস্ক!



সিরিয়ায় যদি আর একজন তুর্কি সেনাও আহত হয় তাহলে আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকেই সিরিয়ার সর্বত্র হামলার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দেশটিতে ১৩ তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর এই হুমকি দিলেন এরদোয়ান।

তিনি বলেছেন, যদি আর কোনো তুর্কি সেনার ওপর হামলা করা হয়, তবে সিরিয়ায় স্থল ও আকাশ– যে কোনো জায়গায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালাবে তুর্কি সেনাবাহিনী।

বুধবার আঙ্কারায় একে পার্টির সদস্যদের সামনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, স্থল কিংবা আকাশ– যেখানে হোক, কোনো দ্বিধা ছাড়া সেখানে হামলা চালানো হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ সিরীয় বাহিনীকে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইদলিবের তুর্কি পর্যবেক্ষণ চৌকির বাইরে সরিয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এরদোয়ান বলেন, পর্যবেক্ষণ চৌকি কিংবা অন্য কোথাও আমাদের কোনো সেনা যদি সামান্যও আহত হন, তবে আজ থেকে সর্বত্র সিরীয় বাহিনীকে হামলা করা হবে। সেটা হোক ইদলিব সীমান্ত কিংবা সোচি চুক্তির রেখায়।

উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে সিরীয় বাহিনীর গোলায় ১৩ তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর পাল্টা হামলাও বেড়ে গেছে।

মন্তব্যসমূহ